এলিয়াজ হোসেন ,৭ই সেপ্টেম্বর।। বক্সনগরের বহু প্রতীক্ষিত প্রাণী চিকিৎসালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন হলো বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় পশু চিকিৎসালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার ত্রিপুরা হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, সিপাহীজলা জেলার জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস, বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার এবং এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবব্রত ভট্টাচার্য।এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাননীয় প্রধান নিরঞ্জন নম:। প্রথমে মন্ত্রী প্রাণী চিকিৎসালয়ের নবনির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তারপর অতিথিদের মঞ্চে বরণ করে নেন পুষ্প, উত্তরী পরিধানের মাধ্যমে দপ্তরের কর্মকর্তারা। তারপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে মন্ত্রী ভগবান দাস অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। তারপর বক্তব্য রাখেন দপ্তরের আধিকারিক বিমল কৃষ্ণ দাস। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৫২ লক্ষ টাকা। আমরা রাজ্য সরকারের দিশায় পশু পাখির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ কর্মে আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানের মাঝে ৬১জন কে মুরগ, ছাগল, হাঁস, শুকর ও গরু বেনিফিসারী দেওয়া হয়েছে।তারপর হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসীমউদ্দীন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা মন্ত্রী ভগবান দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,বক্সনগর এলাকা থেকে বিজেপি দলের বিধায়ক না থাকলেও সরকার বক্সনগর এলাকার উন্নয়নের জন্য আন্তরিক রয়েছে এক এিপুরা শ্রেষ্ঠ এিপুরা গড়তে সকল নাগরিকদের সহযোগীতা চাইছে। মন্ত্রী ভগবান দাস বলেন পশুপাখি রাজ্যের একটি সম্পদ। রাজ্যের উন্নয়নে এই সম্পদকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মানুষ আর পশু পাখি পালনে পিছিয়ে যাবে না। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি দেখে পশুপালনে আরো এগিয়ে যাবে। মানুষের অত্যাধুনিক চিকিৎসার মত পশুপাখির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন অত্যাধুনিক পরিষেবা নিয়ে আমরা রাজ্যে কাজ করছি। আগের সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে মাংস,দুগ্ধ ও পশু পাখি পালনে অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। রাজ্যে বর্তমানে ৯০ কোটি টাকারও বেশি অনুদানে প্রাণী চিকিৎসালয়ের জন্য নবনির্মিত ভবনের কাজ চলছে। কিছুদিনের পূর্বে তিনটি নবম নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে রাজ্যে পশুপালন বিকাশ দপ্তরের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ চলছে।