‘বিপ্লব’ শুরু বিপ্লবের! ত্রিপুরায় সংকটে বিজেপি সরকার
ত্রিপুরায় সরকার নিয়ে টানাপোড়েনের পরিস্থিতি ৷ ফের ‘বিপ্লব’ শুরু করেছেন প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ৷ রাজ্যে পার্টিতে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন তিনি ৷ রবিবার নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,’মাঝে মধ্যে দলে বাইরের লোকজন হস্তক্ষেপ করছে ৷ তাতে কাজে সমস্যাও হচ্ছে ৷ দলের একটা শৃঙ্খলাও আছে ৷ আমি বিষয়টি সম্পর্কে দলকে অবগত করছি ৷ আমরা প্রধানমন্ত্রী, নাড্ডা জীর নেতৃত্বে চলি’ ৷ তার এই মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ বিপ্লব দেবকে এদিনই তলব করা হয়েছে দিল্লিতে ৷
কর্ণাটকে ভরাডুবির পর ত্রিপুরাতেও সংকটে বিজেপি ৷ প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বেসুরো মনোভাব দেখা দিয়েছে ৷ দলে বহিরাগত হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি নালিশ জানাবেন বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ৷ পাশাপাশি বিপ্লব দেব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন ৷ তাঁর কথায়,’আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, জেপি নাড্ডা জীর নেতৃত্বে চলি’ ৷ প্রশাসন ও সংগঠনের কাজ সে ভাবেই হয় ৷ ‘আমাকে যখন যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিষ্ঠা সহকারে করেছি ৷ কিন্ত মাঝে মধ্যে বাইরের হস্তক্ষেপ হচ্ছে এখানে ৷ এতে পার্টির ক্ষতি হচ্ছে ৷ তা নিয়ে দলকে অবগত করছি’ ৷
বিপ্লব দেব মুখ খোলার পরই নড়েচড়ে বসেছে হাইকমান্ড ৷ তাঁকে দিল্লিতে জরুড়ি ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে ৷ দিল্লি থেকে গতকালই তিনি ত্রিপুরায় ফিরেছিলেন ৷ কিন্ত হাইকমান্ডের জরুরি তলব পেয়ে ফিরতি বিমানে ফের দিল্লিতে চলে গেলেন ৷ ত্রিপুরার প্রাক্তণ ও ‘বিতর্কিত’ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আর এস এস ঘরনার লোক ৷ মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নানা সময়ে তাঁর নানা মন্তব্য একাধিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরও দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি বিপ্লব ৷ বরং দিল্লি ফিরে গিয়ে সংগঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন ৷
কিন্ত চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে হটাৎ করেই পার্টির বিরুদ্ধে তাঁর আনা বহিরাগত হস্তক্ষেপের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি ৷ এই মুহূর্তে মাত্র দুই আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ত্রিপুরার ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি ৷ গত বিধানসভা ভোটের আগে নবগঠিত রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথাও সরকারের উপর বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ৷ এবার আবার দলের অন্দরেই ‘বিপ্লব’— এর আভাস ৷ ফলে যথেষ্ট চাপে ত্রিপুরা সরকার ৷