‘উই নিড ফুড-নট টবাকো’ অর্থাৎ ‘আমাদের খাদ্য চাই, তামাক নয়’ !
জিরানিয়ার অগ্নিবীণা হলে বুধবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ভিত্তিক বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে ৷
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ৷ উল্লেখ্য এবারের বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসের মূল ভাবনা হলো ‘আমাদের খাদ্য চাই, তামাক নয়’ ৷
অগ্নিবীণা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয় ৷ তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে মানবদেহে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা নিয়ে জনগণকে সচেতন করতেই বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালন করা হয় ৷ অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী নিজেকে সুস্থ রাখা ও একটি সুন্দর নেশামুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ৷ তিনি বলেন, তামাক সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে ৷ আমরা প্রত্যেকেই যদি এটা মেনে চলি তাহলে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে ৷
এদিন অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী তামাক সেবন থেকে দূরে থাকার জন্য উপস্থিত সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান ৷ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে পশ্চিম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ দেবাশিস দাস বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন ৷ অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অরুপ রায় বর্মন পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তামাক সেবনের কুফলের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ৷ এদিন জেলায় তামাক বিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়নে যোগেন্দ্রনগর আরবান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার ও জিরানীয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে পুরস্কৃত করা হয় ৷ তাছাড়াও জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েত, আরক্ষা দপ্তরকেও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারপার্সন রীতা দাস, রানীবাজার পুর পরিষদের চেয়াপার্সন অপর্ণা শুক্লবৈদ্য সহ আরো অন্যান্যরা ৷