চরম অবহেলায় পুষ্টি প্রকল্পের কোটি টাকার চাল-ডাল নষ্ট ৷
ধর্মনগর মহকুমার অন্তর্গত কদমতলা সুসংহত শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিকের কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে অভিভাবকহীন ৷ সঠিক নজরদারি না থাকার ফলে কার্যালয়ের পাশে গুদামে মজুত রাখা শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত কোটি টাকার মিড ডে মিলের চাল ডাল নষ্ট হয়ে গেছে ৷
দীর্ঘদিন ধরে কদমতলা ও কালাছড়া ব্লক এলাকা থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো, ডাল শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিল প্রকল্প বন্ধ রয়েছে ৷ এই অভিযোগ পেয়ে মহকুমার সাংবাদিকরা কদমতলা সুসংহত শিশু উন্নয়ন সেবা প্রকল্প আধিকারিকদের কার্যালয়ে বিষয়টির খোঁজ নিতে যায় ৷
প্রথমেই দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অফিসে আসেন না সিডিপিও অয়ন ভৌমিক ৷ জানা গেছে, তিনি কুড়ি এপ্রিল থেকে কাউকে কোনও দায়িত্বভার না দিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন ৷ অফিসে কাগজপত্রে সর্বমোট ১৬ জন কর্মচারী থাকলেও বর্তমানে আট জন দিয়ে চলছে পরিষেবা ৷
অভিযোগ, সিডিপিও অফিসে না এসে উনার মর্জি মাফিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ শান্তনু নাথ নামে একজনকে দিয়ে ৷ বর্তমানে অফিসের অঘোষিত বস হচ্ছেন শান্তনু নাথ, যার আদেশ ছাড়া কোনও কাজ এই অফিসে করা সম্ভব নয় বলে অভিযোগ ৷
সাংবাদিকরা কেন এতদিন মিড ডে মিল বন্ধ ছিল? এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেউই এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ৷ পরবর্তীতে স্টোরকিপার শ্রীবাস পালের কাছে জানা গেছে, গুদামে ৩৪,৬৬৫ কেজি চাল মজুত রয়েছে ৷ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ থেকে গুদামে ডাল না থাকায় কালাছড়া ও কদমতলা ব্লক এলাকার ৩১৯ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের জন্য মিশ্রিত চাল,ডাল দেওয়া যায়নি ৷ যার ফলে মিড ডে মিল পরিষেবা বন্ধ ছিল ৷
১৯ মে ৫৮৫১ কেজি ডাল এসেছে ৷ এখন ৩০কেজি চাল ও ১০ কেজি ডাল একসঙ্গে মিশ্রিত করে ৪০ কেজির বস্তায় করে ২০ মে থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলিতে পাঠানো হচ্ছে ৷
এদিকে গুদামে দেখা যায় চাল-ডাল মিশ্রিত প্রচুর বস্তা আগে থেকেই মজুত ছিল ৷ এগুলি নষ্ট হয়ে গেছে ৷ গুদামে মজুত রেখে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, অথচ শিশুদের এগুলি দেওয়া হয়নি ৷ এই বিষয়ে স্টোরকিপারের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা করেন ৷
অভিযোগ, সিডিপিও ও স্টোরকিপার দপ্তরের মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের, মন্ত্রীর কাছের লোক বলে দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছে ৷ যার ফলে এই অবস্থা বলে অভিযোগ ৷
এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে ৷