শুক্রবার থেকে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে ৪১তম আগরতলা বইমেলা। আজ বিকালে বইমেলার উদ্বোধনকরবেন মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত, কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল ও বিধায়ক মিনা রানি সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী ও আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশন কার্যালয়ের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ।এবার ৪১তম বইমেলার মূল ভাবনা হলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। এবার বইমেলায় ১৭৬টি স্টল থাকবে। রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থার স্টল রয়েছে ৮২টি, বহিরাজ্যের প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের স্টল রয়েছে ৭৯টি। বাংলাদেশের প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের স্টলের সংখ্যা ১৫টি।
বইমেলায় ত্রিপুরার প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা ছাড়াও কলকাতা, শিলচর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও বাংলাদেশের প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাগণের স্টল থাকবে। ১৩ দিনব্যাপী বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা ৩০মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিনগুলিতে বইমেলা খোলা থাকবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইমেলায় ক্রেতাদের জন্য পুস্তক বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।বিগত বইমেলার মতো এবারের বইমেলাতেও বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হবে।
সাহিত্য ক্ষেত্রে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য অটল বিহারী বাজপেয়ী পুরস্কার এবং সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জাতীয় সংহতি পুরস্কার দেওয়া হবে। চিত্রকলা, বাংলা ও ককবরক সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য, সংগীত, শাস্ত্রীয় সংগীত, বাংলা ও ককবরকে প্রকাশিত ছোট গল্প, নাটক, এবং লোকসংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য যথাক্রমে ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ স্মৃতি পুরস্কার, সলিল কৃষ্ণ স্মৃতি পুরস্কার, শচীন দেববর্মণ স্মৃতি পুরস্কার, কালীকিংকর দেববর্মণ স্মৃতি পুরস্কার, ভীষ্মদেব স্মৃতি পুরস্কার ও লালন পুরস্কার প্রদান করা হবে।
বইমেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিল্পীগণ ছাড়াও সিকিম সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের এবং মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং বাংলাদেশের শিল্পীগণ অংশ নেবেন। বইমেলায় আলোচনাসভা, গ্রন্থ প্রকাশ, কবি সম্মেলন, স্মরণিকা প্রকাশ, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।