আগরতলায় ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে এ ধরনের যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ যখনই হয়েছে, তখনই বিরোধীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে দেখা গেছে। আসলে পিতা পুত্র যে সুরে কথা বলেন, আর একই সুরে কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যবাসী এই পিতা পুত্রের রাজনীতি দেখেছে। উশৃঙ্খল কংগ্রেস দলের রাজনীতিতেই রয়েছে এ ধরনের অভিনয়। তারা বোম্বেতে গেলে এতদিনে হিরো বা হিরোইন হয়ে যেতেন। জনবিশ্বাস রথযাত্রার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে এভাবেই দাঁড় করিয়ে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এত এত মানুষকে খুন করেছে, নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। এখন তাদের সাথেই এবং কংগ্রেস মিতালী হতে চাইছে, তারা মানুষকে কি জবাব দেবে বলে প্রশ্ন তুলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যেভাবে ১৯৭৭ এবং ১৯৯৩ সালে তারা রাজ্যবাসীকে আবেগ দেখিয়ে সরকার গঠন করেছিল সেভাবেই চাইছে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করতে। তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের অভিভাবক হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাই এত সহজে কিছু হবে না। কারণ হলো ভারতীয় জনতা পার্টি অত্যন্ত শক্তিশালী দল। তাই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে এই বৃথা চেষ্টা না করার জন্য এবং স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেন। জাতি জনজাতিদের মধ্যে ঐক্যতা নষ্ট করে জল ঘোলা করার চেষ্টা না করার জন্য। বর্তমান প্রধান আঞ্চলিক দল সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।