ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সাব্রুমের শ্রীনগর-বাংলাদেশের ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এই ইন্দ্রো-বাংলা সীমান্ত হাটটি গত চার(৪) বছর বিভিন্ন কারনে বন্ধ হয়ে যায় ৷
চার বছর বন্ধ থাকার পরে এই চলতি মাসে গত ৯ই মে এই সীমান্ত হাটটি দুই দেশের প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে চালু হয় ৷
এই সীমান্ত হাটটি পুনরায় চালু হওয়ার আগে দু দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তি হয় ৷
ভারত শ্রীনগর সীমান্তের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারি ১২০০ জন লোক সীমান্ত হাটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে এবং বাংলাদেশের ছাগলনাইয়া সীমান্তে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারি ১২০০ জন লোক সীমান্ত হাটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে ৷
এ মতাবেক ভারত থেকে সংখ্যা ঠিক থাকলেও, বাংলাদেশ থেকে সংখ্যা অনেক কম ৷ যার ফলে ভারতে বিক্রয় ঠিক মতো হচ্ছেনা ৷ আর এতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা একেবারেই মন্দা ৷
এর কারন হিসেবে সীমান্ত হাটের ভারতের শ্রীনগরের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অভিযোগ করে জানান,বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সে দেশের ইচ্ছুকরা তাদের হয়রানি করছে, বিশেষ করে কাস্টমসের কর্মকর্তাগন ৷ দু দেশের প্রতিটি ক্রেতা ষোলশো টাকা লেনদেনের কথা বলা হলেও বাংলাদেশের সীমান্তে ক্রেতাদের ক্রয় করা জিনিষ পত্র রেখে দিচ্ছে ৷
যার জন্য সীমান্ত হাটে এসে ক্রয় করার মানষিকতা হ্রাস পাচ্ছে ৷
বাংলাদেশের ক্রেতারা আসতে চাইলে চাইছেনা, এমনটাই বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে ৷
দ্বিতীয় দিনের এই দুই দেশের ইন্দ্রো-বাংলা সীমান্ত হাটে ক্রেতাদের দেখানোই বলা চলে ৷
এক সময় এই সীমান্ত হাটে ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড় লক্ষ করা যেতো ৷ আর বর্তমানে বুধবার দ্বিতীয় দিনে সীমান্ত হাটের বাজারে ক্রেতাদের তেমন একটা দেখা পাওয়া যায়নি ৷
দক্ষিণ জেলার সাব্রুম শ্রীনগর সীমান্তের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন লোকজন যা বলতে শুরু করেছে ৷ এইভাবে চলতে থাকলে এই হাটটি একেবারই বন্ধ হয়ে যাবে ৷ দুটি দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তর যাতে এই সীমান্ত হাটটির উপর নজর রাখে এমনটাই অভিযোগ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন লোকজনদের ৷