দক্ষিণ জেলার জেলা সদর বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা কটতা তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা হারে হারে টের পাচ্ছে ভুক্ত ভোগীরা ৷
প্রতিদিন বহির্বিভাগে এবং ইমারজেন্সি মিলিয়ে শত শত রোগী পরিষেবা নিতে আসেন এই হাসপাতালে ৷ অথচ পরিষেবা দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক নেই ৷ বাধ্য হয়ে মানুষকে ছুটতে হচ্ছে, হয় অন্যত্র ৷ কিন্ত যাদের এই সামর্থ নেই, তাদের সমস্যার শেষ নেই ৷ বিলোনিয়া হাসপাতালের দন্ত বিভাগে একজন মাত্র মহিলা চিকিৎসক রয়েছেন ৷ তিনি বেশিরভাগ সময়ই যথাসময়ে হাসপাতালে আসেন না বলে অভিযোগ ৷
যেখানে সকাল ৯ টায় বহির্বিভাগে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কথা ৷ সেখানে বেলা প্রায় ১২ টা বাজলেও চিকিৎসকের দেখা মিলে না ৷ তাই টিকিট কেটে রোগীরা তীর্থের কাকের মতো বসে থাকেন, কখন আসবে চিকিৎসক সেই আশায় ৷
প্রায়ই একই চিত্র দেখা যায় বিলোনিয়া হাসপাতালের দন্ত বিভাগের ও পি ডি তে ৷ চিকিৎসক আসেন বেলা ১২ টায় ৷ তাঁর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি নিজেও অসুস্থ ৷ আগরতলা থেকে আসা যাওয়ার কারনে ৷
এখন প্রশ্ন উঠেছে এতবড় মহকুমা হাসপাতালে মাত্র এক জন দন্ত চিকিৎসক নিয়ে! চিকিৎসকও মানুষ, তিনি অসুস্থ হতেই পারেন ৷ যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন, তাহলে ছুটি নিলেন না কেন? কেন তাঁকে অসুস্থ শরীর নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ? এই বিষয়ে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের ভূমিকা কি ? যদিও এই বিষয়ে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক বিমল কলুইর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ একই রকম বিকেল চারটার পর প্রায়ই দেখা যায় ৷ গোটা হাসপাতালে একজন মাত্র চিকিৎসক ৷ তিনি কোনদিকে যাবেন ? এই ভাবেই চলছে রাজ্যের তথাকথিত স্বাস্থ্য পরিষেবা ৷