কংগ্রেস বাইক বাহিনী নয়, হেলমেট বাহিনী নয় এবং মানুষকে ভয় দেখিয়ে নয়। কংগ্রেস মানুষকে ভালবাসতে জানে। এটা কংগ্রেসের পুঁজি। আগামী দিনে ত্রিপুরা কংগ্রেস কিছু করে দেখাতে চায়। কিন্তু বিজেপির কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে নেই। কংগ্রেস চায় এই রাজ্যের উন্নয়ন, জাতি জনজাতির সকল অংশের মানুষের মুখের হাসি। তাই কংগ্রেসকে পাঁচ বছরের জন্য ত্রিপুরার মানুষের কাছে সুযোগ দেওয়ার কথা বলছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বললেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন । তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি পালনে সম্পূর্ণভাবে ঠকবাজ হয়েছে এই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।
সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বলেছিল ৫০ হাজার শূন্যপদ পূরণ করা হবে। কিন্তু মিথ্যাচার সরকার কোন শূন্য পদ পূরণ করেনি। পাশাপাশি সপ্তম সপ্তম বেতন কমিশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, কিন্তু পাঁচ বছরে সপ্তম বেতন কমিশন দিতে না পারায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এমনকি অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটাও পালন করতে পারেনি। বরং অনিয়মিত বহু কর্মী পাঁচ বছরে কাজ হারিয়েছে। ১০,৩২৩ এর স্থায়ী সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। স্থায়ী সমাধান দূরের কথা বরং শিক্ষকদের উপর পুলিশ দিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। আন্দোলন করতে রাস্তায় নামলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশিক্ষা শিক্ষক এবং রামসা শিক্ষকদের নিয়মিত করণ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পালনেও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি সরকার। হাইকোর্টে রায় থাকার পরেও সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের নিয়মিত করণ করা হচ্ছে না। আপরদিকে রোজভ্যালি সহ চিটফান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দেখা গেছে সরকারি প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুষ্ঠু তদন্তে দূরের কথা চিটফান্ডের সম্পত্তি বিক্রি করে জনগণের পয়সা না দিয়ে এর মজা লুটছে সরকার। আগে কখনো এমন রাজনৈতিক দল দেখা যায়নি, পুলিশকে এত নতজানু হতে দেখা যায়নি। রাজ্যের মানুষ অন্যায়কে প্রত্যক্ষ করলেও প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে রাজ্যের মানুষ এ সরকারের আমলে। যে রাজনৈতিক দলগুলি বিজেপির প্রতিবাদ জানাতে চায় তাদের উপর আক্রমণ সংঘটিত হয়, বিরোধী দলের বাড়িঘর ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের চিত্র আগে কখনো দেখা যায়নি। তাই এই সরকারের উপর আস্হা রেখে লাভ নেই। এ সরকার কিছু করবে না বলে জানান তিনি।