হাঁসফাঁস গরমে, সাময়িক স্বস্তি এনে দিল বৃষ্টি
তীব্র দাবদাহে অস্থির প্রতিটি মানুষের কাছেই কাম্য ছিল বৃষ্টি।তবে আশঙ্কা ততোটা পূরণ না হলেও গত কাল এবং আজকের দিনের বৃষ্টিতে জীবজগৎ নিঃশ্বাস ফেলেছেন।তবে ভালো খবর আবহাওয়া দপ্তরে দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমী বায়ু নাকি কেরালায় প্রবেশ করেছে বৃহস্পতিবার দিনই। বলা হয়েছিল আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করবে বলে অনুমান।
কথাটাও অতি বাস্তব প্রমাণিত হয়ে গেল।তাই শুক্রবার দেখা গেল সকাল আটটার পরেই শুরু হলো মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি থেমে থেমে।
দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে নাকাল ছিল জনজীবন।ঘরের বাইরে বেরোলেই গরম হাওয়ার স্পর্শে শরীর নেতিয়ে পড়ার অবস্থা, মনে হয় উপর থেকে কেউ যেন আগুনের গোলা ঝরে ফেলছে।রাস্তায় পিচের উত্তাপ যেন জ্বলছে দিতে চায় চোখ মুখ।শান্তি নেই ঘরে বসে থেকেও।শরীরের অস্থির অস্থির তাপ। একবার চেয়ার, একবার ঘরের মেঝেতেও বসেও স্বস্তি নেই। বৃহস্পতিবার এরই মধ্যে কালো হয়ে আসে আকাশ কানে ভেসে আসতে থাকে মেঘের থেমে থেমে গর্জন। তবে কাঙ্খিত বৃষ্টি সময়ের অপেক্ষা ধরে হালকা খুশির রেখা ফুটে উঠে প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি।তবে সময়টা খুব বেশিক্ষণ ছিল না। রাতে অনেকেরই ভালো ঘুম হয়েছে।শুক্রবার শুরু হয় সকাল আটটার পর থেকে নিরবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি।বলা চলে দিনের ভালো একটা সময় বৃষ্টি হয়েছে।যে বৃষ্টিতে কৃষি মাঠের ফাটল গুলি ভর্তি হয়ে খানিকটা ক্ষেতপাথরে জল দেখা যাচ্ছে। এতে কৃষকের যথেষ্ট খুশি।আপনার চিন্তা করছে আমন ধানের হালি বসানো সম্ভব হবে কিনা!