আচমকা সফরে গিয়ে বিদ্যুৎ নিগমের অপরিচ্ছন্নতা দেখে চটে লাল বিদ্যুৎ মন্ত্রী!!গরমে গরম মন্ত্রী রতন লাল নাথ!
শনিবার দুপুরে আচমকাই বনমালীপুর বিদ্যুৎ নিগম পরিদর্শনে যান মন্ত্রী ৷ তিনি পরিদর্শনে গিয়ে ব্যপক অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেন অফিসের মধ্যে ৷ যেমন খুশি চলছে কর্মীরা ৷ কাজের প্রতি তারা অত্যন্ত অমনোযোগী ৷ ফলে মন্ত্রী কর্মীদের গালিগালাজ করতে ভুল করেন নি ৷ মন্ত্রী শ্রী নাথ এদিন বিদ্যুৎ নিগম কক্ষ গুলি পরিদর্শন করে কর্মীদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে জানতে চান এভাবেই কি চলছে তাদের দায়িত্ব পালন ? এবং কক্ষ গুলি অত্যন্ত অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন থাকায় মন্ত্রী শ্রী নাথ বলেন, বামফ্রন্ট যা শিখিয়ে গেছেন, সেটাই করছেন কর্মীরা ৷ অর্থাৎ মন মানসিকতা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত পচে গেছে এই কর্মচারীদের ৷ কিছু করার ইচ্ছে নেই তাদের ৷
শুধু হাজিরা দাও ৷ কর্মীদের কক্ষে বটগাছ দেওয়ালে গজিয়ে উঠায় তিনি বলেন, আপনার বাড়ি ঘরে যদি কোনো বটগাছ এভাবে গজিয়ে না উঠতে দেন, তাহলে কেন আপনার অফিস কক্ষে এভাবে বটগাছ উঠে আছে ? এর পেছোনে কারন আপনি অফিস কক্ষটাকে নিজের মনে করতে পারেন নি ৷
শুধু ঘড়িতে কাটা ঘুরছে কিনা সেটাই দেখছেন, ৫ টা বাজলেই বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন আপনারা ৷ যেখানে সেখানে যা খুশি ফেলে কক্ষের চেহারা নোংরা করে রাখা হয়েছে ৷ পরিত্যক্ত জিনিষ ফেলার জন্য ডাস্টবিনের নির্দেশ দেন মন্ত্রী ৷ কতিপয় কর্মীদের কাজের অমনোযোগী দেখে মন্ত্রী বলে উঠেন অফিসটাকে বাড়ি মনে করবেন আপনারা ৷ কিছু কিছু কর্মীদের কম্পিউটারে তাস খেলার চিত্র ধরা পড়েছে মন্ত্রীর ৷
জানতে চান এগুলি কি হচ্ছে অফিসে ? অর্থাৎ তিনি স্বচোক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন কেন মানুষ বিদ্যুৎ নিগমে অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারেনা ৷ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন কর্মীদের উদ্দেশ্যে অফিসে এসে কোনো সম্মেলন চলবে না ৷ সম্মেলন করার জায়গা অফিসের ভেতরে নয় ৷ এসব অফিসের বাইরে করার জন্য নির্দেশ দেন ৷
এদিন এক মহিলা কর্মী মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বলেন অফিসের চেয়ার টেবিল সব ভাঙা ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন এর জন্য আপনারা দায়ী ৷ কারন আপনারা অফিসকে বাড়ির মতো দেখেন না ৷ তাই আপনাদের নতুন চেয়ার টেবিল দেয়না দপ্তর ৷ এবং চেয়ার টেবিল আপনাদের না দিয়ে ঠিক করেছে ৷ পরে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বিদ্যুৎ নিগমের পরিত্যক্ত জায়গা গুলি পরিদর্শন করেছেন ৷
পরিদর্শনের পর মন্ত্রী জানান এই নিগম অফিসে চার একর এর অধীক জায়গা রয়েছে ৷ বহু জায়গা খালি পড়ে রয়েছে ৷ এই খালি জায়গা যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় বিদ্যুৎ নিগম থেকে ৷ এবং একটি পুকুরও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ৷ আগরতলা পৌর নিগমকে বলা হবে পুকুরটির সৌন্দর্যায়ন করার জন্য ৷ পরবর্তীতে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বিদ্যুৎ নিগমের অধীনে ভুতুরিয়া হেল্প লাইন ড্র্যাক্স পরিদর্শনে যান ৷ কথা বলেন কর্মীদের সাথে ৷ মানুষ যেহেতু হেল্প লাইন নম্বরে কল করে পায়না বলে অভাযোগ তুলছে তাই তিনি রাত ১২ থেকে ভোর ৪ টার মধ্যে প্রতিদিন ফোন করার চেষ্টা করবেন ৷ তবে মন্ত্রীর পরিদর্শন আগামীদিনে কতটা কর্মীদের কাজের গতি আনবে সেটাই এখন বড় বিষয় ৷